রাসেল ভাইপার সাপের ইতিহাস-রাসেল ভাইপার কোথায় থেকে এসেছে
রাসেল ভাইপার সাপের ইতিহাস-রাসেল ভাইপার কোথায় থেকে এসেছে
দক্ষিণ এশিয়ার ভিপেরিডি পরিবারের একটি অত্যন্ত বিষাক্ত সাপ হল রাসেলের ভাইপার (Daboia russelii)। 1797 সালে জর্জ শ এবং ফ্রেডেরিক পলিডোর নোডার এই সাপটির বর্ণনা দেন। প্যাট্রিক রাসেলের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। এটি ভারতের চারটি প্রধান সাপের একটি।
বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাগলকাণ্ডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি দিন দিন আরও দৃঢ় হচ্ছে। সম্প্রতি পদ্মাসহ বিভিন্ন নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ব্যাপক প্রচার হচ্ছে। ফেসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অনেকেই এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। বলা হচ্ছে যে রাসেলস ভাইপার কামড়ালে দ্রুত মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
রাসেল ভাইপার সাপ দেখতে কেমন
সাপটি দেখতে অনেকটা অজগরের বাচ্চার মতো। কারণ চন্দ্রবোড়ার গায়ের রঙের অদ্ভুত মিল রয়েছে অজগরের সঙ্গে, যা মুহূর্তের জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়।
এই অল্প সময়ের বিভ্রান্তি নির্মম দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। যদিও এটি সাধারণত অলস থাকে, রাসেলস ভাইপার আক্রমণের সময় অত্যন্ত ক্ষিপ্র। ছোবল দেওয়ার সময় তীব্র গতিতে স্প্রিংয়ের মতো লাফিয়ে ওঠা এই সাপ এক সেকেন্ডের ১৬ ভাগের এক ভাগ সময়ের মধ্যে ছোবল দিতে পারে। তাই এটি কিলিং মেশিন নামেও পরিচিত।
ব্রিটিশ শাসনামলে ভারত উপমহাদেশে সাপ নিয়ে গবেষণা করতে এসেছিলেন স্কটিস সার্জন প্যাট্রিক রাসেল। তিনি এ অঞ্চলের সাপের শ্রেণিবিন্যাস বা ক্যাটালগিং শুরু করেন। ১৭৯৬ সালে তিনি প্রথমবারের মতো অনেক সাপের পরিচিতি ও বিশ্লেষণ করেন, যার মধ্যে রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া অন্যতম। রাসেলের সতীর্থ বিজ্ঞানীরা তার নাম এই সাপটির সঙ্গে যুক্ত করেন, ফলে চন্দ্রবোড়া হয়ে যায় রাসেলস ভাইপার।
বাংলাদেশে রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিন্তার কিছু নেই। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা দিলে বিষক্রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সাপে কামড়ানোর চিকিৎসায় প্রথম ১০০ মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে ১০টি অ্যান্টিভেনম নিতে হয়। দ্রুততম সময়ে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে যেতে হবে। কিন্তু মানুষ ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করায় মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না।
রাসেল ভাইপার সাপের বৈশিষ্ট্য
সাধারণত রাসেল ভাইপার সাপ ১২০ সেন্টিমিটার (৪ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হয়, তবে কিছু সাপ ১৬৬ সেন্টিমিটার (৫.৫ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এদের দেহ মজবুত এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ, যা তাদের অন্য সাপের থেকে পৃথক করে।
রাসেলস ভাইপার সাপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এরা ডিম দেয় না, বরং সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে। সদ্য প্রসূত বাচ্চার দৈর্ঘ্য ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি হয়। এই সাপটি বছরের যেকোনো সময় প্রজনন করতে পারে, তবে মে-আগস্ট মাসে প্রজননের হার বেশি। একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০-৪০টি বাচ্চা দেয়, তবে কোনো কোনো সাপ ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দিতে পারে।
১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত প্রথিতযশা জীববিজ্ঞানী এবং সর্প বিশেষজ্ঞ ড. মো. আলী রেজা খানের 'বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী' বইয়ে দেশের বেশ কিছু স্থানে চন্দ্রবোড়া সাপের অস্তিত্বের কথা লেখা হয়েছে। তিনি লিখেছেন যে, উত্তরবঙ্গে দেশের অন্য এলাকা থেকে বেশি চন্দ্রবোড়া পাওয়া যায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে বেশ কয়েকটা চন্দ্রবোড়া ধরা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের কুষ্টিয়া, যশোর এবং খুলনাতেও চন্দ্রবোড়া পাওয়া যায়। কেবল ঢাকা বিভাগের যমুনার পূর্বদিকে এদের সন্ধান তিনি পেয়েছিলেন।
সুন্দরবনের কিছু অংশ, মধুপুরের শালবন এবং দেশের অন্যান্য কিছু স্থানে এদের উপস্থিতি ছিল। চন্দ্রবোড়া হারিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং দীর্ঘ বিরতির পর ২০০৯ সালে তাদের পুনরুদ্ধার হয়। চন্দ্রবোড়া ভারত ও বাংলাদেশে মহাবিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। চন্দ্রবোড়া বাংলাদেশে আইইউসিএনের ২০১৫ সালের লাল তালিকায় সংকটাপন্ন প্রাণী।
চন্দ্রবোড়ার উত্থান প্রকৃতির সুস্থ পরিবেশ এবং সঠিক প্রবৃত্তির ফলাফলের কারণে ঘটেছে। বন্যপ্রাণীদের সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবে মানুষের প্রকৃতির বিরুদ্ধে অমানুষিক প্রবৃত্তি হয়েছে। মানুষের উপস্থিতি এবং প্রকৃতির সংঘর্ষের ফলে বন্যপ্রাণীদের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। সুস্থ পরিবেশ ও প্রকৃতিসম্মুখে প্রতিষ্ঠিত পরিবেশে চন্দ্রবোড়ার ফিরে আসা এক অধ্যায়।
রাসেলস ভাইপার সাপ চিনবেন যেভাবে
বাংলাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার, যা ‘চন্দ্রবোড়া’ নামেও পরিচিত। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে পদ্মা তীরবর্তী কয়েকটি জেলা ও চরাঞ্চলে এই সাপের উপদ্রব উদ্বেগজনকহারে বেড়েছে এবং মানুষ এই সাপের আক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন।
চিকিৎসকদের মতে, রাসেলস ভাইপারের কামড়ে আক্রান্ত ৯০ শতাংশ রোগীই মারা যাচ্ছেন। বিষধর এই সাপটি সঠিকভাবে চিনতে না পারার কারণে চিকিৎসা নিতে দেরি হওয়ায় মৃত্যুর হার বাড়ছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে প্রতি বছর সাপের কামড়ে যত মানুষ মারা যায়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ কেবল এই সাপের কামড়েই মারা যায়। 'কিলিং মেশিন' হিসেবে পরিচিত রাসেলস ভাইপার বিশ্বজুড়ে দুর্নাম কুড়িয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, রাসেলস ভাইপারের কামড়ে আক্রান্ত ৯০ শতাংশ রোগীই মারা যাচ্ছেন। বিষধর এই সাপটি সঠিকভাবে চিনতে না পারার কারণে চিকিৎসা নিতে দেরি হওয়ায় মৃত্যুর হার বাড়ছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে প্রতি বছর সাপের কামড়ে যত মানুষ মারা যায়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ কেবল এই সাপের কামড়েই মারা যায়। 'কিলিং মেশিন' হিসেবে পরিচিত রাসেলস ভাইপার বিশ্বজুড়ে দুর্নাম কুড়িয়েছে।
মিডনাপুর ডট ইন-এর বন্যপ্রাণী বিষয়ক উপদেষ্টা রাকেশ সিংহ দেব সাপটির উপর একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, রাসেলস ভাইপার সাপটি শরীরে মোটা ও লেজটি ছোট। এর মাথা চ্যাপ্টা ত্রিকোণাকার এবং ঘাড় সরু। সাপটির শরীর বাদামি বা হলদে বাদামি রঙের হওয়ায় শুকনো
পাতার মধ্যে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে। জিহ্বার রঙ বাদামি বা কালো। সারা গায়ে বড়ো গাঢ় বাদামি দাগ থাকে, যা শিকলের মতো দেখতে। দাগগুলোর চারপাশে কালো বর্ডার এবং তার মধ্যে সাদা বা হলুদের ছিটে থাকে। পেটের দিকের আঁশ সাদা। এদের বিষদাঁত লম্বা, দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫-১৬ মিমি পর্যন্ত। রাসেলস ভাইপারের বিষদাঁত পৃথিবীতে দ্বিতীয় সবচেয়ে বৃহৎ।
বিষহীন বালুবোড়া সাপ এবং বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার দেখতে অনেকটা একই রকম হওয়ায় মানুষ প্রায়ই তাদের গুলিয়ে ফেলে। অনেকে আবার বালুবোড়া সাপকে ছোট অজগর মনে করেন। তবে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে সাপ দুটির মধ্যে পার্থক্য সহজেই বোঝা যায়।
সাধারণত সব সাপ মানুষকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে, কিন্তু রাসেলস ভাইপার সাপের আচরণ সম্পূর্ণ বিপরীত। এরা সাধারণত পালিয়ে যায় না। নিজেদের বিপন্ন মনে করলে আক্রমণ করে বসে। বিষধর সাপ হিসেবে পৃথিবীতে রাসেলস ভাইপারের অবস্থান পঞ্চম হলেও হিংস্রতা ও আক্রমণের ক্ষেত্রে এর স্থান প্রথম। আক্রমণের সময় এই সাপ এত দ্রুত যে, ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ের মধ্যে কামড় সম্পন্ন করতে পারে। এছাড়া, এরা প্রচণ্ড জোরে হিস হিস শব্দও করতে পারে।
রাসেল ভাইবার সাপ কামড় দিলে প্রতিকার ও ক্ষতিকর দিক
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে অথবা কয়েক ঘণ্টা পরে শুরু হতে পারে। প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়ার বিষয়টি কামড়ের গভীরতা, বিষের পরিমাণ, এবং সাপের দৈর্ঘ্য ও বয়সের উপর নির্ভরশীল।
মিডনাপুর ডট ইন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে তীব্র ব্যথা শুরু হয় এবং কামড়ের স্থান ফুলে ওঠে। দংশনের স্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে এবং চোখের কোণ, দাঁতের মাড়ি, নাক বা যে কোনো কাটা অংশ থেকে রক্ত চুঁইয়ে পড়তে পারে। রক্ত থুতু, বমি, প্রস্রাব বা পায়খানার সঙ্গে মিশে আসতে পারে। চোখ লাল হয়ে যায় এবং কোমর ও পাঁজরের নিচে ব্যথা শুরু হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশ, বিশেষ করে পা, ফুলে ওঠে।
রাসেলস ভাইপার সাপের বিষ অত্যন্ত রক্তবিষাক্ত বা হোমোটক্সিন প্রকৃতির। এই বিষ শরীরের রক্ত জমাট বাঁধাতে শুরু করে, যা ফুসফুস বা কিডনি বিকল করতে পারে এবং এতে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। যদি উপযুক্ত চিকিৎসা না করা হয়, কামড়ের একদিন থেকে ১৪ দিনের মধ্যে রোগী মারা যেতে পারে।
সাপে কামড়ালে ধৈর্য ধরে শান্ত থাকতে হবে এবং কামড়ানো স্থান কম নড়াচড়া করানো উচিত। সাপে কামড়ানোর পর প্রথম ১০০ মিনিট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ের মধ্যে সঠিক চিকিৎসা পেলে রোগী সুস্থ হতে পারে। রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই রোগীকে ডায়ালাইসিস সুবিধাসহ হাসপাতালে নেওয়া উচিত।
রাসেল ভাইপার কামড়ালে করনীয়
আক্রান্ত স্থানটি সাবান দিয়ে হালকা করে ধুয়ে নিন অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে হালকা করে মুছে ফেলুন। যদি ঘড়ি, অলঙ্কার বা তাবিজ-তাগা থাকে, তাহলে তা খুলে ফেলুন। দংশিত স্থানে কাটাকাটি, সুই ফোটানো, কোনো প্রলেপ লাগানো বা অন্য কিছু প্রয়োগ করবেন না। সাপের কামড়ের পর ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।
রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক নয়, কামড়ে কী করণীয়?
যদিও রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিতি উদ্বেগজনক, তবে মানুষের সঙ্গে এর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই সাপ সাধারণত নিচু ভূমির ঘাসবন, ঝোঁপ জঙ্গল, উন্মুক্ত বন ও কৃষি এলাকায় বসবাস করে এবং মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। মেটে রঙের কারণে সাপটি মাটির সঙ্গে সহজেই মিশে যায়। মানুষ খেয়াল না করে সাপের কাছাকাছি চলে গেলে সাপটি আতঙ্কিত হয়ে আক্রমণ করতে পারে। দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় রাসেলস ভাইপার নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। এজন্য সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করার অনুরোধ জানানো হলো।
সাপের কামড় এড়াতে করণীয়
- রাসেলস ভাইপার দেখা গেছে এমন এলাকায় চলাচলে সতর্ক থাকুন।
- লম্বা ঘাস, ঝোঁপ বা কৃষি এলাকায় হাঁটার সময় খুবই সাবধানে থাকুন।
- গর্তের মধ্যে হাত-পা ঢুকাবেন না।
- কাজ করার সময় বুট এবং লম্বা প্যান্ট পরে থাকুন।
- রাতে চলাচলের সময় টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।
- বাড়ির চারপাশ পরিস্কার ও আবর্জনামুক্ত রাখুন।
- পতিত গাছ, জ্বালানি লাকড়ি বা খড় সরানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন।
যদি গুগল নিউজে সাপ দেখা যায়, তাহলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না। তবে প্রয়োজনে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করুন বা নিকটস্থ বন বিভাগের অফিসকে অবহিত করুন।
সাপের কামড়ের ক্ষেত্রে করণীয়
- দংশিত অঙ্গে নড়াচড়া করবেন না।
- পায়ে দংশন করবেন না, হাঁটবেন না।
- হাতে দংশন করবেন না, হাত নাড়াচাড়া করবেন না।
- হাত পায়ের গিড়া নাড়াচাড়া করবেন না।
- আক্রান্ত স্থান সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবেন অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছতে হবেন।
- ঘড়ি, অলংকার বা তাবিজ, তাগা খুলে ফেলবেন।
- দংশিত স্থানে কাটবেন না, সুই ফোটাবেন না, বা কোনো প্রলেপ লাগাবেন না।
- সাপে কাটা হলে সম্ভব তা অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
- সম্ভব তা নিকটস্থ হাসপাতালে যাবেন।
- রাসেলস ভাইপারের প্রাদুর্ভাব কমাতে করণীয়
বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল, তিলা নাগ ঈগল, সারস, মদন টাক, এবং কিছু প্রজাতির সাপ রাসেলস ভাইপার খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাসেলস ভাইপার বিস্তৃত হচ্ছে।
রাসেলস ভাইপার সংরক্ষণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য রাসেলস ভাইপার বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর অধীনে প্রশাসিত হয়। রাসেলস ভাইপার ইঁদুর ফসল রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সাপের বিষ থেকে অনেক জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি হয়। রাসেলস ভাইপার সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় রাসেলস ভাইপার মারা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে প্রতিষ্ঠান করেছে এবং সাপ মারা হতে বিরত থাকতে উৎসাহিত করেছে।
আমাদের শেষ কথা
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আপনি নিয়মিত পরতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url